স্টাফ রিপোর্টার ॥ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, লেবুখালীর পায়রা সেতু খুব শীঘ্রই উদ্বোধণ হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সেতুর উদ্বোধণ করবেন। আশাকরছি আগামী মাসে এ সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, পায়রা বা লেবুখালী সেতুটি দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য আরেকটি পদ্মা সেতুর মতো। ইতোমধ্যে পিরোজপুরের বেকুটিয়া সেতুর নির্মান কাজ ৭৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। এছাড়া নলুয়া-বাহেরচর সেতু একনেকে পাশ হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার সংস্কৃতি শুরু করতে হবে। কাজের মান ঠিক রেখে কাজগুলো গতিসম্পন্ন করতে হবে। বুধবার সকালে ভার্চুয়াল আলোচনায় মন্ত্রী উল্লেখিত বক্তব্য প্রদান শেষে বরিশাল বিভাগের ৮৩ কোটি ২৩ লাখ ৯৮ হাজার টাকা ব্যায়ে নির্মিত ১১টি সেতুর উদ্বোধণ ঘোষনা করেন। এসব সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৪৯১ দশমিক ৭৩৮ মিটার।
সেতুগুলো হলো-বরিশালের রহমতপুর-বাবুগঞ্জ-মুলাদী-হিজলা সড়কের ২৮ দশমিক ৭৮ মিটার দৈর্ঘ্যের বাবুগঞ্জ সেতু, ৩১ দশমিক ৮২৮ দৈর্ঘ্যের খাশেরহাট সেতু, ৩১ দশমিক ৮২৮ মিটার দৈর্ঘ্যের নবাবেরহাট সেতু, ৩১ দশমিক ৮২৮ মিটার দৈর্ঘ্যের কাউরিয়া সেতু, ২৫ দশমিক ৭৪ মিটার দৈর্ঘ্যের খাশেরহাট দ্বিতীয় সেতু। বরিশাল-ঝালকাঠি-ভান্ডারিয়া-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ৪৪ দশমিক ০২ মিটার দৈর্ঘ্যের গুরুধাম সেতু, কাঠালিয়া (বান্দাঘাটা)-কৈখালী-বনাইহাট সড়কের ৬৯ দশমিক ৮৯৮ মিটার দৈর্ঘ্যের তফসের খেয়াঘাট সেতু। ভোলার তালুকদারহাট-বোরহানউদ্দিন-লালমোহন-চরফ্যাশন-চরমানিকা আঞ্চলিক মহাসড়কে ৪৪ দশমিক ০২ মিটার দৈর্ঘ্যের বাংলার জার সেতু। দেবীরচর-নাজিরপুর-লালমোহন-মঙ্গলসিকদার-তজুমদ্দিন আঞ্চলিক মহাসড়কে ৪৪ দশমিক ০২ মিটার দৈর্ঘ্যের দেবীরচর সেতু। পিরোজপুর জেলার চরখালী-তুষখালী-মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটা সড়কে ৬৩ দশমিক ৭৯৮ মিটার দৈর্ঘ্যের হেতালিয়া সেতু, চরখালী-তুষখালী-মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটা সড়কের ৭৫ দশমিক ৯৭৮ মিটার দৈর্ঘ্যের মাদারসী সেতু।
উদ্বোধণী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল সভায় বরিশালপ্রান্তে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তারেক ইকবাল, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মিন্টু রঞ্জন দেবনাথসহ অন্যান্য প্রকৌশলীবৃন্দ। সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তারেক ইকবাল বলেন, বরিশাল বিভাগের চারটি জেলার ১১টি সেতু মন্ত্রী মহোদয় উদ্বোধণ করেছেন। এসব সেতুগুলোর প্রতিটির স্থানে পূর্বে স্টিলের বেইলি ব্রীজ ছিলো। যা যানবাহন চলাচলের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ছিলো। ব্রীজ চালুর মাধ্যমে নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এবছরও আমরা তিনটি সেতু রিপলেসমেন্ট করার কাজ হাতে নিয়েছি। আগামীতে একটি বড় প্রকল্পের মাধ্যমে সকল বেইলি ও ঝুঁকিপূর্ণ সেতু রিপ্লেস করা হবে।
Leave a Reply